ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

গতি নেই কুড়িল ফ্লাইওভারের অবশিষ্ট কাজে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৫
গতি নেই কুড়িল ফ্লাইওভারের অবশিষ্ট কাজে ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অর্ধবছর ধরে কোনো গতি নেই রাজধানীর অন্যতম গেটওয়ে কুড়িল ফ্লাইওভারের অবশিষ্ট অংশের নির্মাণ কাজে। এবার নতুন নকশায় বাকি অংশের কাজ হবে এমনটি জানা গেলেও কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।



৬ মাস আগে প্রকল্প পরিচালক বদল হলেও নতুন করে আর কাজ শুরু হয়নি। এখন নতুন ঠিকাদার খোঁজা হচ্ছে। তারপরই শুরু হতে পারে বাকি অংশের কাজ।
 
এ অবস্থায় নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ফ্লাইওভারটি সাজিয়ে তোলার কথা থাকলেও কাজের ধীর গতিতে তা কবে পূর্ণাঙ্গরূপ পাবে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
 
২০১৩ সালের ৩ আগস্ট কুড়িল ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নূরুল হুদা বলেছিলেন, দ্রুত অবশিষ্ঠ অংশের কাজ শেষ করা হবে। কিন্তু ফ্লাইওভার চালু করা ছাড়া দৃশ্যমান আর কোনো কাজ হয়নি সেখানে।
 
লেকের সৌন্দর্যবর্ধন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ফুটওভার ব্রিজ এবং ওয়াটার পার্কের কাজ আর এগুতে পারেনি।
 
রাজউক প্রকৌশলী মো. আবদুল আহাদ জানান, ৬ মাস তিনি প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ হয়নি। তবে কাজ এগুনোর ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে।
 
প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফ্লাইওভার চালু রয়েছে ঠিকই কিন্তু অযত্ন অবহেলায় পড়ে আছে ফ্লাইওভারের বিভিন্ন স্থাপনা। ব্রিজের নিচে লেক ভরে যাচ্ছে ময়লা আবর্জনায়।
 
সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ফুটওভার ব্রিজ এবং ওয়াটার পার্কের জন্য নতুন নকশার কাজ করছেন স্থপতি ইকবাল হাবিব।
 
রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের ইচ্চানুযায়ী বাকি অংশের নকশা পরিকল্পনা করছেন তিনি।
 
যোগাযোগ করা হলে ইকবাল হাবিব বাংলানিউজকে জানান, এটি এখনও আলাপ আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ফ্লাইওভারের ঠিক নিচে ওয়াটার গার্ডেন, নিকুঞ্জের দিকে আরেকটি ওয়াটার গার্ডেন এবং বৃক্ষরাজি ও ল্যান্ডস্কেপের মাধ্যমের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার কাজ করা হবে।

আর ফ্লাইওভারের নিচে স্কেটিং সুবিধা যোগ করা হবে। তবে এখনও এর প্রক্রিয়াগত কাজ বাকি আছে বলে জানান স্থপতি ইকবাল হাবিব।

যোগাযোগ করা হলে প্রকল্প ব্যবস্থাপক মুনীর আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ফ্লাইওভারের ৯০ শতাংশ কাজ আগের নকশা অনুযায়ী শেষ হয়েছে। বাকি ১০ ভাগ কাজ যার বেশির ভাগই সৌন্দর্যবর্ধন যা নতুন নকশায় আগামী জানুয়ারিতে কাজ শুরু হতে পারে।
 
আর এর মধ্যে নভেম্বর-ডিসেম্বরে এর প্রক্রিয়াগত কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান প্রকল্প ব্যাবস্থাপক।
 
প্রকল্পটির নতুন নকশায় সৌন্দর্যবর্ধন কাজের জন্য এখন ঠিকাদার খোঁজা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগের নকশার আলোকে বিমানবন্দর সড়কে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এখন প্রগতি স্মরণির দিকে আরেকটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। যার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
 
২০১০ সালের ২ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িল ফ্লাইওভারের নির্মাণ  কাজের উদ্বোধন করেন। প্রথম নকশায় ফ্লাইওভারের লুপ ছিলে ৫টি। এর দৈর্ঘ্য ৩.১ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৬.৭ মিটার থেকে ৯মিটার। সঙ্গে দু’টি ফুটওভার ব্রিজ রয়েছে। ফ্লাইওভারের নিচে থাকছে ১.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নেটওয়ার্ক।
 
রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমে পরিবহন যোযোযোগের অন্যতম ভূমিকা পালনকারী এই ফ্লাইওভারটি প্রথমবারের মত রাজউক নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করে। ফ্লাইওভার নির্মাণের পর যেমন এয়ারপোর্ট রোড আর প্রগতি স্মরণির সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হয়েছে তেমনি পূর্বাচলের সাথে যুক্ত হয়েছে এসব সড়ক।
 
এর আগে দিনে ৯৮টি ট্রেনের যাতায়াতে গড়ে ৫ মিনিটে মোট ৭৫ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকত। ফ্লাইওভারের কারণে এখন আর যান চলাচল বন্ধ থাকে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৫
এসএ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।