ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রাজন হত্যা

দোষীদের শাস্তি চেয়েছিলেন খালাসপ্রাপ্তরাও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৫
দোষীদের শাস্তি চেয়েছিলেন খালাসপ্রাপ্তরাও ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: দোষীদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয় এই চাওয়া ছিল রাজন হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্তদেরও। সোমবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান এ হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত আসমত উল্লাহ, ফিরোজ মিয়া ও রুহুল আমিন।

কারা ফটকে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় আসমত উল্লাহ ও ফিরোজ মিয়ার।

ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘আমি নির্দোষ। রাজন হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলাম না। শুধু ঘটনাটি দেখার কারণে দোষী হয়ে চার মাস জেল খেটেছি। বৃদ্ধ বয়সে বদনামের ভাগীদার হলাম। ’

তিনি বলেন, ‘আমাকে এ মামলায় জড়ানো হলেও আমি নিজেও মনে প্রাণে চেয়েছি- দোষীদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। আল্লাহ যেন ন্যায়বিচার করেন। ’

আসমত আলী বলেন, ‘আমরা আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। ন্যায়বিচার পাবো, আল্লাহ তায়ালার উপর এই ভরসা ছিল। জেলের ভিতর নামাজ পড়ে আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করেছি।

এ সময় অপর খালাসপ্রাপ্ত রুহুল আমিন কারাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে চলে যান।
 
এর আগে সোমবার বিকেলে রাজন হত্যার রায়ের আদেশ কারাগারে পৌঁছায়। বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মো. ছগির মিয়া।

তিনি বলেন, রায়ের আদেশের কপি পৌঁছার পরে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে খালাসপ্রাপ্ত তিনজনকে সন্ধ্যায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৮ নভেম্বর) আলোচিত শিশু রাজন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় কামরুলসহ চারজনকে ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন, তিন জনকে সাত বছর ও দুই জনকে ১ বছর কারাদণ্ডের সাজা দেয়া হয়।    অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ না হওয়ায় তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫
এনইউ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।