ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ধুনটে দারিদ্র ও বাল্যবিয়েতে কমছে স্কুল শিক্ষার্থী

রফিকুল আলম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫
ধুনটে দারিদ্র ও বাল্যবিয়েতে কমছে স্কুল শিক্ষার্থী

ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চরম দারিদ্র ও বাল্যবিয়ের কারণে দিন দিন এ অঞ্চলের স্কুলগুলোতে কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থী সংখ্যা।

শুধু গত ৩ বছরেই উপজেলার ৪০টি মাধ্যমিক স্কুল থেকে ঝরে গেছে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী।



রোববার (০৮ নভেম্বর) ধুনট উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ২০১২ সালে যেসব শিশু প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায় পাস করেছে, ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় তাদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

২০১২ সালে ধুনট উপজেলার ২০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল ৫ হাজার ৬৬৭ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাস করে ৫ হাজার ৫৭৮ জন।

সেসব পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এবারের জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুল থেকে অংশ নিচ্ছে ৩ হাজার ১৩৬ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ, গত ৩ বছরে মাধ্যমিক পর্যায় থেকে ঝড়ে গেছে প্রায় ২ হাজার ৪৪২ জন শিক্ষার্থী।

কি কারণে অব্যাহতভাবে কমছে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে জাকির হোসেন জানান,
বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে ও জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে বাল্যবিয়ে ও দারিদ্রতাই শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার মূল কারণ।

তিনি জানান, যমুনা নদীর কারণে ধুনট ভাঙনকবলিত উপজেলা। এ এলাকার অধিকাংশ পরিবারই দরিদ্র। শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবে অনেকেই মেয়েদের শিশু বয়সেই বিয়ে দেন। এছাড়া সংসারের ঘানি টানতে বইখাতা ছেড়ে দরিদ্র পরিবারের ছেলেরা বাবার সঙ্গে কাজে যোগ দেয়। এতে প্রাথমিকের গণ্ডী পেরিয়ে উপরের ক্লাসে উঠার পর থেকে শিক্ষার্থী কমতে থাকে।

এ বিষয়ে চলমান জেএসসি পরীক্ষায় ধুনট কেন্দ্র সচিব বিকাশ চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পড়া রোধে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাবেশ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫ 
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।