ঢাকা, রবিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

শত তরুণের রোমাঞ্চকর ভারত সফর

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
শত তরুণের রোমাঞ্চকর ভারত সফর

ঢাকা: ভারত থেকে ঘুরে এলেন বাংলাদেশের শত তরুণ। আট দিনের সফরে তারা দেশটির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেন।

দেশের আটটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ সফরে অংশ নেন। এ শতজনের মধ্যে ছিলেন সাংবাদিক, শিল্পী, নৃত্যশিল্পী ও চিকিৎসকরাও।

সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল, দুই দেশের মধ্যকার সংস্কৃতি বিনিময়, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার এবং ভ্রমণে উৎসাহিত করা।

প্রতিনিধি দলটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওয়ানা দেয় গত ৪ সেপ্টেম্বর। সেখানে দীর্ঘ আট দিনের সফর শেষে ফিরে আসে ১১ সেপ্টেম্বর। সফরের আয়োজন করে ভারতের যুব মন্ত্রণালয়। এতে সহায়তা করে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশন।

সফরকালে দিল্লিতে অবস্থান করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এ সময় তারা দিল্লি জাদুঘর, ইন্ডিয়া গেট, কুতুব মিনার এবং দেশটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন। তাদের সফরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ।

সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলটির উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। আর দু’দেশের সম্পর্ক স্বাধীনতার সময়কাল থেকেই।

অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি দলের হয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান আকিব। তিনি তার বক্তৃতায় বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সম্পর্কে নানা তথ্য তুলে ধরেন।

প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রতিনিধি দলটি আগ্রার তাজমহল ঘুরে দেখে। তারা সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শনও করে। এরপর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাজস্থানের জয়পুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। দেশে ফেরার সময় কলকাতার ইডেন গার্ডেন এবং শান্তিনিকেতনে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

এই দলের সঙ্গী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মায়মুনা কাজী নিজের অনুভূতি সম্পর্কে বলেন, এটি স্মরণীয় একটি সফর হয়ে থাকবে। বিশেষ করে ভারতীয় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারার সুযোগটি বেশ বড় অর্জন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী জুনায়েদ বলেন, সফরটি ছিল বিরাট অভিজ্ঞতা। এছাড়া, এই সুযোগটা পাওয়াও অনেক বড় ব্যাপার ছিল। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সংস্কৃতি, ভারধারার আদান-প্রদানে ভূমিকা রাখতে পেরে আমি খুশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
আইএ/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।