ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এটিই আমাদের জীবনপণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এটিই আমাদের জীবনপণ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যতোই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, ততোই দেশ অভিশাপমুক্ত হচ্ছে। লাখো শহীদের অর্জন ব্যর্থ হতে পারে না।

এটি আমাদের জীবনপণ- লাল-সবুজের পতাকা সবার ঊর্ধ্বে থাকবে। রক্ত দিয়ে হলেও এর মর্যাদা রক্ষা করবো।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জাতির কাছে কী জবাব দেবেন! তিনি যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়েছেন, সম্মান দিয়েছেন। যার শুরু এর আগে করে গেছেন জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, হাইকোর্টই বলেছে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল ছিল অবৈধ। এমনকি এরশাদের ক্ষমতা দখলও। উচ্চ আদালতের রায়কে যারা সম্মান করেন- তাদের এটি মনে রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, যতোই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, ততোই দেশ অভিশাপমুক্ত হচ্ছে। লাখো শহীদের অর্জন ব্যর্থ হতে পারে না। এটি আমাদের জীবনপণ- লাল-সবুজের পতাকা সবার ঊর্ধ্বে থাকবে। রক্ত দিয়ে হলেও এর মর্যাদা রক্ষা করবো আমরা।

‘উন্নতির জন্য ত্যাগ শিকার করতে হবে। স্বাধীনতার জন্য যে ত্যাগ, উন্নতির জন্য তেমনই ত্যাগ চাই’- যোগ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশ আমরাই স্বাধীন করেছি, উন্নতি করা আমাদেরই কর্তব্য। একটা দিনও আমরা নষ্ট করতে চাই না। সেভাবেই কাজ করতে হবে। দেশ জাতির পিতা দিয়ে গেছেন, আমাদের সে দেশ রক্ষা করা একান্ত দায়িত্ব।

বাঙালি অসাধ্য সাধন করতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। বাঙালি সব রকম অসাধ্যই সাধন করতে পারে। বঙ্গবন্ধু সে সময়ই বলেছিলেন- বাংলাদেশের মতো একটি উর্বর দেশ যেখানে বীজ ফেললেই গাছ হয়, সে দেশে কেন মানুষ না খেয়ে থাকবে।

‘তবে দেশে কিছু মানুষ আছেন ‍যারা থাকেন বাংলাদেশে, স্বপ্ন দেখেন পাকিস্তানের’।

প্রধানমন্ত্রী তাদের হুঁশিয়ার করে বলেন, আর যেন বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেভাবে কাজ করতে হবে আমাদের। আজ গণতন্ত্রের কথা কাদের মুখে শুনি আমরা? তারা কোন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দল গঠন করেছিল? তারা গণতন্ত্র বানান করতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক অভিযোগ- বিএনপির নামে মামলা। মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য এসব মামলা হয়েছে। মামলা-মামলা করে কথা বললেই হবে না, মানুষ পোড়ানো হয়েছে বিচার হবে। তারা মানুষ মারবে আর তাদের বিচার হবে না- এটি হতে পারে না। তাদের অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তারা মানুষ খুন করেছে, এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে, মানি-লন্ডারিং করেছে। কতো খেলা দেখিয়েছে। আর তাদের মুখ থেকে আজ গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়। খুনি তো খুনিই; তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।

বিজয় দিবস উদযাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর- সারাদেশে বিজয় দিবস উদযাপন হয়েছে। এই ধারা যেন অব্যাহত থাকে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি থাকতে পারেননি, ঘাতকের বুলেটে আমরা তাকে হারিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই।

তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দিয়েছিল মিত্র হিসেবে- তাদের আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যারা মিত্র শক্তিকে সম্মাননা দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এমইউএম/এটি/আইএ

** খালেদা জিয়া জাতির কাছে কী জবাব দেবেন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।