প্ল্যাটফর্মে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে ৯টার দিকে ট্রেনের আসনে চেপে বসেছেন তিনি। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টার দিকে ট্রেনটির ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও স্টেশন ত্যাগ করেছে ৯ টা ২০ মিনিটে।
শুধু চিত্রা এক্সপ্রেসই নয়, অতিবৃষ্টির কারণে শনিবার (২১ অক্টোবর) প্রায় প্রত্যেকটি রুটের ট্রেনই সময় মতো চলাচল করতে পারেনি। শিডিউলে হেরফের করে প্রায় দেড় থেকে তিনঘণ্টা দেরিতে আসা-যাওয়া করেছে প্রত্যেকটি ট্রেনে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের যাত্রীদের। এ রুটে প্রতিদিন ১৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করে।
সকাল ১১টা পর্যন্ত ৬ জোড়া ট্রেন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে বাকি ১০ জোড়া ট্রেনের। রেললাইনে পানি জমে যাওয়ায় ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
রেল সূত্র জানায়, রাজধানীর ভেতরে তেজগাঁও এলাকায় প্রায় আধা কিলোমিটার রেলপথে পানি জমে ছিল। ফলে সিগনালিং সমস্যা হয়। এক কথায় সেখানে ইলেকট্রিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা কাজ করছে না তাই সব কিছু ম্যানুয়ালি করা হচ্ছে।
ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) গাউস আল মনির বাংলানিউজকে বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ১০ জোড়া ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়েছে। অন্যান্য রুটেও সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এমআইএস/এমএ