তবে অন্যান্য দিনের মত কাঁথা/চাদর মুড়ে নয়, পলিথিন মুড়ে ফুটপাতে শুয়ে রাত্রিযাপন করেছেন তারা। বৃষ্টির পানি যাতে ভিজিয়ে দিতে না পারে, সেজন্য শরীরের এপাশ-ওপাশে একদম ঠিকঠাক গুজে রেখেছেন ভরসাময় পলিথিন কাগজে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রাজধানীর হাইকোর্টে মোড়ে সরেজমিনে গেলে এ চিত্র দেখা যায়।
এদিকে, নিস্তব্ধ এই বৃষ্টিস্নাত রাতে কেউ কেউ চাদর/কাঁথা গায়ে দিয়েও শুয়ে আছেন। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে তাদের গায়ে থাকা কাঁথাটাও ভিজে গেছে।
এছাড়াও রাজধানীর ফার্মগেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কারওয়ানবাজার, গুলিস্তান বেশ কিছু এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর ফুটপাতে খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করা ছিন্নমূল কিছু মানুষের রোজকার ঘটনা। যাদের নেই নিজস্ব কোনো ঠিকানা। তবে বৃষ্টি হলেই তাদের কষ্টটা যেন একটু বেশিই বেড়ে যায়। তখন আশ্রয় খুঁজতে ছুটোছুটি শুরু হয় তাদের। আশ্রয় মিললেও কোনো গাছ নয়তো কোনো ভবনের নিচে।
মনির নামে এক রিকশা চালক বাংলানিউজকে জানান, আমরা দিনে-রাতে মিলাইয়া গাড়ি (রিকশা) চালাই। তাই যেদিন রাতে গাড়ি চালাই, সেদিন তো রাস্তায় থাকা লাগে। তাই বৃষ্টি হলে তো কথা নেই। ওই পলিথিন কাগজ মুড়ে বসে থাকা লাগে।
আর ফুটপাতে যে লোকগুলো ঘুমায় তাদের তো খোয়ানোর কিছু নেই। তাদের কষ্ট হয় একটু বৃষ্টি বাদলের দিনে।
তিনি বলেন, এই বৃষ্টিতেও গুলিস্তানে স্টেডিয়াম মার্কেটে ঠাঁই মিলবে ৫/১০ টাকায়। সেখানকার দারোয়ান গো টাকা দিলে ওই ফ্লোরে ঘুমাতি দেয়। তবে আমি কখনও যাইনি।
টানা বৃষ্টির কারণে আবহাওয়া অনেকটা ঠান্ডা। বাইরে শীতল বাতাস। এদিকে টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। শনিবার বিকেলের পর থেকে বৃষ্টির মাত্রা কমলেও রাতভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তেও দেখা যায়।
শনিবার রাত দেড়টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে জমাট বাধা পানি অনেকটাই কমে গেছে। এছাড়াও রাজধানীর বেশ কিছু স্থানে এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে। এরমধ্যে মালিবাগ চৌধুরী পাড়া এলাকার সড়কের পুরো অংশই পানিতে ডুবে আছে। এছাড়াও বনানী সড়কের দুই পাশেও জলাবদ্ধতা থাকতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এসজেএ/বিএস