শুক্র ও শনিবারের টানা বর্ষণের ফলে রাস্তার খানা খন্দে পানি জমে থাকায় যান চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়। ফলে দুই ঘণ্টার রাস্তা পারি দিতে ৩/৪ ঘণ্টা সময় বেশি লেগে যাচ্ছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে যান চলাচলে ধীরগতি থাকলেও সকাল ১১টার পর থেকে তা তীব্র যানজটে রূপ নেয়।
দুই দিনের অবিরাম বর্ষণে মহাসড়কের খানা খন্দ বেড়ে গেছে। রাস্তার অনেক জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান ‘চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ভারী যানবাহনগুলো চলাচল করতে গিয়ে রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ছে। পুলিশ রেকার দিয়ে বিকল যানবাহনগুলো সরিয়ে নিলেও রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তার করুণদশার সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে এ অংশে ১০ মিনিটের রাস্তা পারি দিতে এক ঘণ্টা লাগছে।
এছাড়া রাবনা শহর বাইপাস, করটিয়া বাইপাস, নাটিয়াপাড়া, জার্মুকী, পাকুল্লা, আগধল্লা, কদিমধল্লা, মির্জাপুর ও ধেরুয়া রেলক্রসিং এলাকায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
ঢাকাগামী বাসের যাত্রী বিএন কলেজের শিক্ষার্থী ওবায়দুল্লাহ আল মামুন জানান, সকাল ছয়টায় টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। দুপুর ১২টা কিন্তু পর্যন্ত গাজীপুরের চান্দরা এলাকা ছাড়াতে পারেননি।
ট্রাফিক পুলিশের মির্জাপুর থানার পরিদর্শক শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এতে গাড়ির গতি কমে যাওয়ায় কোনো কোনো জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিকেলের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ