রোববার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাঁধটির খাস কাউলিয়া চৌদ্দরশি এলাকায় প্রায় ৭০ মিটার ধসে যায়। এ নিয়ে গত ৫ মাসের ব্যবধানে এ প্রকল্পের বিভিন্ন পয়েন্টে ১১ বার ধস দেখা দিল।
খাস কাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদ হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, ২০১৫ সালে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে টাঙ্গাইল, নাগরপুর ও চৌহালী রক্ষায় ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধের কাজ শুরু হয়। বাঁধটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আসা অবস্থায় চলতি বছর প্রথম ২ মে ধস নামে। এরপর ১৬ মে, ৮ ও ২৩ জুন ৩,৭, ১৯, ২০, ২১ ও ২৩ জুলাই এ প্রকল্পটির বিভিন্ন অংশ ধসে যায়।
রোববার সকালে খাস কাউলিয়া চৌদ্দরশি এলাকায় অন্তত ৭০ মিটার এলাকায় আবারও ধস দেখা দেয়।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদেকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বাঁধ ধসের বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, বাঁধের ওই অংশে যমুনার পানির গভীরতা থাকায় প্রায় ৭০ মিটার ধসে গেছে। পাউবোর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ