বৈঠক প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের দল অং সান সু চির সঙ্গে ‘আন্তরিক পরিবেশে’ প্রায় এক ঘণ্টা কথা হয়।
সু চি বলেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তার সরকার কাজ শুরু করছে।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সু চিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সফর করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনিও দুই দেশের সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ৫ পয়েন্টস এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সু চিকে সিনিয়র অফিসিয়ালস ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো এবং জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। সু চি এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
অপু আরও জানান, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন তা সু চিকে জানিয়েছেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেছেন, আমাদেশ দেশে কোনো সন্ত্রাসী প্রশ্রয় পাবে না। তবে অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত ফিরিয়ে না নিলে এদের অনেকেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যেতে পারে। তখন পরিস্থিতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কারও অনুকূলে থাকবে না।
মাদকের পাচার, বিশেষত ইয়াবার ভয়াবহতার ব্যাপারে সু চিকে অবহিত করা হলে সু চি নিজেই জানান, তার দেশের যুবসমাজ (অনেকেই) ও ইয়াবায় আসক্ত। বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার বন্ধে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করবে মিয়ানমার।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানী নেপিডোতে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল চ সুয়ি এবং পুলিশ প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখানে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
আরএম/এসএইচ