বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিদারুল আলম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের না করায় পুলিশ মামলাটি দায়ের করে।
মামলার আসামিরা হলেন- ফতুল্লা দেলপাড়ার বাসিন্দা জমির মালিক চাঁন মিয়া, ঠিকাদার ইসমাইল ও হাজী আব্দুল মালেক ও রফিক।
এর আগে মরদেহগুলো গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ির ভাড়ার খরচ যোগাতে পারছিল না পরিবার। তখনই ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামালউদ্দিন নিজ উদ্যোগে কফিনের খরচসহ সার্বিক খরচ দিয়ে মরদেহগুলো গ্রামের বাড়িতে পাঠানো ব্যবস্থা করেন।
ওসি কামালউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, চাঁন মিয়াসহ অন্যদের গাফলতির কারণে দেয়াল চাপা পড়ে একই পরিবারের তিন বোনসহ চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার দরিদ্র হওয়ায় তারা মামলা করতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
গত ২৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) বেলা ১১টায় ফতুল্লার পাগলা শান্তি নিবাস এলাকা সংলগ্ন চাঁন মিয়ার মালিকানাধীন পুরানো একটি ভবন ভাঙার কাজ করার সময় দেয়াল চাপায় একই পরিবারের তিন বোনসহ চারজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলো- পটুয়াখালী গলাচিপার চিঙ্গুরার ট্রাক হেলপাড় সাইফুল ইসলামের তিন মেয়ে লামিয়া (১২), লাবনী (৮) ও লিমা (৩)। তারা পাগলা শান্তি নিবাস এলাকা সংলগ্ন জসিম উদ্দিনের কলোনির বাসিন্দা। আর শরিয়তপুরে আব্দুর রশিদ খা’র ছেলে আলমগীর (২৫)। আহত হয়েছে শাহআলম। তারা পাগলা একই কলোনিতে বাসিন্দা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
জিপি