সেই জমি থেকে ৩৩ শতক প্রাথমিক স্কুলের নামে দান করেন। ২০ বছর পর ২০১৩ সালে স্কুলটি ওই জমি দেখিয়ে সরকারিকরণ করা হয়।
সরেজমিনে বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে স্কুলটিতে গিয়ে দেখা যায় এ করুন চিত্র।
একটি লম্বা টিনের ঘরে চারটি রুম। শিক্ষার্থীদের বসার জন্য কোনোটিতে বেঞ্চ আছে কোনোটিতে নেই। শিক্ষার্থীরা মাটিতে বসে ক্লাস করছে। স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৪০ জন। শিক্ষক রয়েছেন পাঁচজন। ফলাফলের দিক থেকেও স্কুলটি বেশ ভাল করে আসছে। অথচ একটি বিল্ডিংয়ের অভাবে স্কুলটিতে লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
কথা হয় স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মোছা ইয়াছমিন বেগমের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, 'আমি আসার আগে এ স্কুলের অবস্থা ছিলো খুবই করুন। আমি চেষ্টা করছি স্কুলটিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে। প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিয়েছে স্কুলটির সীমানা পিলার ও একটি বিল্ডিং। '
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, 'স্কুলটির নিজস্ব জমি না থাকায় স্কুলটিতে বিল্ডিং দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। স্কুল কমিটিকে বলেছি স্কুলের জায়গা ঠিক হলে বিল্ডিং দেওয়া হবে। '
রংপুর-২ বদরগঞ্জ তারাগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক বাংলানিউজকে জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন জানতে পারলাম বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এএটি