ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নেপিদোতে সু চি কী বলছেন তার খবর রাখছেন রোহিঙ্গারা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
নেপিদোতে সু চি কী বলছেন তার খবর রাখছেন রোহিঙ্গারা

কক্সবাজার থেকে: নেপিদোতে সু চি কী বলছেন রেডিও’র খবর শুনে তার খোঁজ রাখছেন রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা প্রতিদিনই সকাল সন্ধ্যায় রেডিও শোনেন।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) টেকনাফেরর লেদা, মচুনি, উনচিপ্রাং, নয়াপাড়া এবং উখিয়ার হাকিমপাড়া, বালুখালি ও কতুপালং এর অস্থায়ী ক্যাম্পে গিয়ে জানা গেছে রোহিঙ্গারা নিয়মিত দল বেধে বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা, বার্মিস ভাষার রেডিও চ্যানেলে সংবাদ শোনেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে সম্প্রচারিত অন লাইন টেলিভিশনেও চোখ রাখছেন রোহিঙ্গারা।

ইউসুফ, জবায়ের, করিম নামে রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো প্রতি সন্ধ্যায় ক্যাম্পে ক্যাম্পে আড্ডা বসে রেডিও শোনার জন্য।

তারা রেডিওতে জানতে পেরেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মিয়ানমার সফরে গেছেন। সেখানে কী হচ্ছে কান পেতে শোনেন তারা। আলোচনা করেন। রোহিঙ্গারা
জানতে পেরেছেন সু চি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, তাদের ফিরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে মিয়ানমার সরকার। কিন্তু তারা এটা বিশ্বাস করার কোনো আলামতই দেখতে পায়নি। আজও হাজার খানেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।

রোহিঙ্গারা জানালেন, তারা এখানে বাংলাদেশের ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। সেখানে অনলাইনে নিউজ টিভিতে সু চির বরাত দিয়ে সংবাদও তারা দেখেছেন বলে জানান।

রোহিঙ্গারা জানান, বাংলা না বোঝায় ও পড়তে না পারায় বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতি আগ্রহ নেই তাদের। যে কারণে তাদের নিয়ে কী লেখা হচ্ছে বা বলছে সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই। তবে বাজার ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে টিভিতে তাদের নিয়ে সম্প্রচার দেখা ও বোঝার চেষ্টা করেন।

সু চি বলেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তার সরকার কাজ শুরু করছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ৫ পয়েন্টস এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তারা বিভিন্ন সংবাদে জেনেছেন, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত ফিরিয়ে না নিলে এদের অনেকেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যেতে পারেন। তখন পরিস্থিতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কারও অনুকূলে থাকবে না।

মাদকের পাচার, বিশেষত ইয়াবার ভয়াবহতার ব্যাপারে সু চি ও কামাল কথা বলেছেন সে বিষয়েও রোহিঙ্গারা জেনেছেন।

সু চি নিজেই জানান, তার দেশের যুব সমাজও (অনেকেই) ইয়াবায় আসক্ত। বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার বন্ধে নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করবে মিয়ানমার। সুচির প্রতিশ্রুতি মত রোহিঙ্গারাও চায় নিজ দেশে ফিরে যেতে কিন্তু তার আগে তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
কেজেড/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।