রামপুরা সেতুর পূর্ব পাশের গোলচত্বর থেকে বনশ্রী আবাসিক এলাকার সি ব্লক পর্যন্ত সড়কের এক কিলোমিটার অংশ জুড়ে বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দে ভরা।
এতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ওই এলাকার বাসিন্দাসহ সড়ক ব্যবহারকারীরা।
এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা আর টেলিভিশনে দফায় দফায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোনো উন্নতি হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। এখন বৃষ্টি হলে সড়কের গর্তগুলো কুয়ার মতো হয়ে যায় বলেও দাবি করেন তারা।
এদিকে সড়কের এমন অবস্থার কারণে চলতি বছর ৫ জুন রামপুরা ব্রিজ থেকে বনশ্রী হয়ে ডেমরার আমুলিয়া পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট।
এছাড়া রামপুরা থেকে এ সড়কে ঢুকতেই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক পূর্ব বিভাগ থেকে ভারি যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ডও লাগানো রয়েছে। যেখানে ১৫.৫ টনের বেশি ভারী যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ আছে।
কিন্তু শুরুতে সর্বোচ্চ ৫ টনের হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য এই সড়কটি নির্মাণ করা হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও তদারকির অভাবে ৩০-৪০ টনের লরি-ট্রেইলরও সেখানে চলছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) দিনগত রাত ২টার দিকে এই সড়কে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে সেখানে লাইন ধরে ভারী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি, ফুয়েল ট্যাঙ্কারসহ অন্যান্য ভারী যানবাহন চলছে। আবার এসব যানবাহনের জন্য সড়কের বনশ্রী অংশ থেকে রামপুরা মোড় হয়ে শাহজাদপুর সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত কাভার্ডভ্যান আর ট্রাকের লম্বা জট বেধে আছে।
আমেরিকান অ্যামবেসির সামনের নিরাপত্তাকর্মী রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তা ভাঙা থাকায় প্রতি রাতে এমন যানজট লেগে থাকে। বড় বড় ট্রাকের সারি পড়ে যায়।
প্রতি রাতে ১২টা থেকে শুরু হয়ে ভোর ৪/৫ টা পর্যন্ত এমন জ্যাম থাকে।
স্থানীয়রা দাবি করছেন এখন সড়কটি সচল রাখার স্বার্থে অতিরিক্ত ওজনবাহী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। তা না হলে কোনোভাবেই এই রাস্তা মেরামত সম্ভব নয় বলে মনে করেন তারা।
বনশ্রী এফ এফ সি রেস্টুরেন্টের সিকিউরিটি পান্না মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, ৬ মাসের বেশি হলো রাস্তার অবস্থা এমন হয়েছে। এখন একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় বড় বড় কুয়া হয়ে যায়। বনশ্রী কল্যাণ সমিতি আর প্রশাসন মিলে মাঝে মাঝে ইটের খোয়া আর বালি দেয়। কিন্তু এতো বড় বড় গাড়ি চল্লে কি ইট খোয়ায় মানে? বৃষ্টি হলে বড় গাড়ির চাকায় ঠেলে নিয়ে যায় এসব ইট, বালি।
রিকশাচালক মিলন বাংলানিউজকে বলেন, সড়কের এই ভাঙাচোরা অবস্থা। বনশ্রীর সি ব্লকের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত বেশি। তারপর কিছুটা ভালো হলেও একেবারে মেরাদিয়া পর্যন্ত মাঝে মাঝে খানাখন্দ আছে। এর পরেও সারা রাত ঢাকা থেকে সিলেট অথবা চট্টগ্রামগামী সব ধরনের মালবাহী ভারী যান এই সড়ক দিয়েই চলাচল করে। সড়ক ভালো করতে হলে এখন সবার আগে বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এসআইজে/আরএ