বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দু’টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
আনোয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউয়িনের নগর সাঁওতা গ্রামের আজমত ওরফে গামলার ছেলে। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক প্রবাসী রাকিবুল হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি তিনি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বাংলানিউজকে জানান, একদল সন্ত্রাসী জয়নাবাদ রেললাইনের পাশে অবস্থান করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুমারখালী থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের টহল দল সেখানে অভিযান চালায়।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশের গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মরদেহটি আনোয়ারের বলে শনাক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের পরকীয়ার জের ধরে ৫ অক্টোবর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা রাকিবুলকে হত্যা করে স্থানীয় কালীগঙ্গা নদীতে মরদেহ ফেলে দেয়। হত্যার তিনদিন পর মরদেহ নদী থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
আরবি/