শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে ১০ম মৈত্রী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ অসাম্প্রদায়িক দেশ বাংলাদেশ।
এর আগে বিকেল ৫টায় সার্ক কালচারাল সোসাইটির আয়োজনে ‘অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে গড়ে তুলো মুক্ত ধারার সাংস্কৃতিক গণজাগরণ’ স্লোগানকে সামনে রেখে এ মৈত্রী উৎসব শুরু হয়।
মন্ত্রী বলেন, মাঝে কিছুদিন কিছু জঙ্গি বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেছে। আমরা সেটা দমন করেছি। আমরা সব ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগীতার কথা স্মরণ করি। এখন বাংলাদেশে শান্তির সুবাতাস বইছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানে হবে।
অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিধায়ক কাজী আব্দুর রহিম, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কমিটির সহসভাপতি রাজ কমল পাঠক, পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম ইউসুফ আলী এবং কলকাতা আনন্দবাজার পত্রিকার সহকারী সম্পাদক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কমিটির সহসভাপতি রাজ কমল পাঠক বলেন, ত্রিশ বছর আগে ঢাকায় এসেছিলাম, তখনকার ছবি আমার মনে ঘুরছিলো, কিন্তু আমি দেখলাম ঢাকা পাল্টে গেছে। এ দেশে সেন্টমার্টিন দ্বীপ আছে, সেখানে মানুষ বেড়াতে যায়, সেটা আমরা জানতাম না। আপনাদের কক্সবাজার আছে আমরা জানতাম না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ভারতে একটি ট্যুরিজম সেন্টার খোলেন, তবেইতো মৈত্রী হবে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সার্ক কালচারাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক সুজন দে। সব শেষে বিভিন্ন শিল্পিদের অংশগ্রহণে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
এসআইজে/জিপি