ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে পুলিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে পুলিশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

ঢাকা: বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে (আইডিইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৭’ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগ।

মন্ত্রী বলেন, আমরা যদি ১০ বছর পেছনে যাই, তাহলে তখনকার পুলিশ আর এখনকার পুলিশ এক নয়। বর্তমানে পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। জনগণের সহযোগিতায় মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। আজকের পুলিশ বাংলাদেশের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।

পুলিশের বিফলতা নেই বলা যাবে না মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তবে আমরা যে পথে হাঁটছি, তাতে নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনের পথেই যাচ্ছি। অবশ্যই আমরা গন্তব্যে পৌঁছাবো।

বিভিন্ন এলাকায় কর্তাব্যক্তিরা যে কাজ করতেন এখন কমিউনিটি পুলিশ ধারাবাহিকভাবে সে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশ পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ছোটখাট ঝামেলা বা মতবিরোধ মীমাংসা করে দিচ্ছে।

দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সুরক্ষার বিকল্প নেই, আমরা সে কাজটিই করে যাচ্ছি। জনগণকে যতো কাছে নিতে পারবো, আমরা ততোই সফল হবো। জননিরাপত্তা বিধানে কমিউনিটি পুলিশিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এ সময় জনগণকেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে পুলিশকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে র‌্যালিবিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে এ আন্দোলনে সংযুক্ত করা এবং এর ভালো দিকগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই কমিউনিটি পুলিশিং দিবসের উদ্দেশ্য।

পুলিশকে দূরে সরিয়ে রাখলে মাঝখানে কিছু দালাল সৃষ্টি হয়, কিন্তু সরাসরি সম্পৃক্ত থাকলে দালালরা এ সুযোগ নিতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অংশিদারিত্বমূলক পুলিশিং ব্যবস্থাই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মূল প্রতিপাদ্য। জনগণের সহায়তা ছাড়া নিরাপত্তা সম্ভব নয়। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব অপশক্তি নির্মূল করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

পুলিশের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বাড়লে নাগরিকদের পুলিশভীতি কমবে এবং নিরাপত্তাবোধ বৃদ্ধি পাবে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে কমিউনিটি পুলিশিংকে আরো জোরদার করতে হবে।

আগামীতে ফের কেউ অগ্নি বা বোমাসন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহতের ঘোষণা দেন ডিএমপি কমিশনার।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ঈমাম, রমনা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

কমিউনিটি পুলিশিংয়ে অবদান রাখায় ডিএমপির আট বিভাগ থেকে একজন করে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য, কমিউনিটি পুলিশ অফিসার এবং বিট পুলিশ অফিসারকে পুরস্কৃত করা হয়।

আলোচনা সভার আগে দিবসটি উপলক্ষে ডিএমপি সদর দফতর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে কাকরাইলে অবস্থিত আইডিইবি'র সামনে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।