সংঘর্ষের ঘটনার সময় উত্তেজিত ছাত্ররা স্থানীয় বকুলতলা বাজারের একটি চায়ের দোকান ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করেন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে এগারটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে জাইদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করতেন একাদশ শ্রেণির ছাত্র মিজানুর রহমান। ছাত্রীটির বাবা বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) এলাকার ছেলে রাকিবসহ কয়েকজনকে নিয়ে কলেজে এসে মিজানুরকে শাসন করেন। এতে মিজানুর ভুল স্বীকার করলে বিষয়টি তখনই নিষ্পত্তি হয়।
ওই ঘটনার জের ধরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিজানুরের বড়ভাই জাইদুল কলেজের মাঠে রাকিবকে মারধর করেন। পরে রাকিব গ্রুপের ছাত্র ও বহিরাগতরা সংগঠিত হয়ে বকুলতলা বাজারের কাশেম আলীর চায়ের দোকানে জাইদুলকে বেদম মারধর করেন।
এসময় জাইদুলের বাবা হারুন মিয়া এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করলে এলাকাবাসী সংগঠিত হয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে খবর পেয়ে ফুলবাড়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফাতেমা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, কলেজ মাঠে ছাত্রদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এফইএস/এএটি