রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এ. এম. জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার প্রথমপাশা গ্রামের রইছ উল্ল্যাহর ছেলে কয়ছর (৩৮), তার সহোদর বাবুল মিয়া (৪৩), একই এলাকার মৃত ইন্তাজ উল্ল্যাহর ছেলে মবশ্বির (৪২) ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার চান্দমারাবস্তি দেদন্দী চা বাগানের মৃত পাথর মুন্ডার ছেলে মাইটু মুন্ডা রাজু (৩৬)।
রায়ে মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- প্রথমপাশা গ্রামের সাজ্জাদ মিয়া ও তারিফ উল্ল্যা।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, প্রথমপাশা গ্রামের আজমত মেম্বারের বাড়িতে কাজ করতেন গ্রামের বাসিন্দা আলী হায়দার (১৭) ও তার বাবা মো. উস্তার আলী। ২০০৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে আলী হায়দারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়।
দুর্বৃত্তরা তাকে উপজেলার বুরুঙ্গা ইউনিয়নের নিরাইয়ার হাওরে নিয়ে কুপিয়ে, দু’চোখ উপড়ে ফেলে ও গলাকেটে হত্যা করে। ১ মার্চ রাতে স্থানীয়দের তথ্যানুযায়ী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত হায়দারের বাবা উস্তার আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১(৩) ২০০৩) দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ মাইটু মুন্ডা রাজুসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতার মাইটু মুন্ডা রাজু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ২৬ জুন সিলেট সদর দক্ষিণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম ৬ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট ) দাখিল করেন। ২০০৭ সালের ১০ মে আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি ও ২৩ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার আদালত এ রায় দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে কৌসুলি ছিলেন এপিপি অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম, আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট নুরুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
এনইউ/জেডএস
