রোববার (২৯ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার উত্তরা ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর।
আবুল হোসেনের ভাইরা ভাই প্রকৌশলী শামসুল আলম বাংলানিউজকে জানান, রাজশাহীর প্রবীণ এ সাংবাদিক গত প্রায় দুই বছর ধরে হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। এক বছর ধরে তিনি ঢাকায় মেয়ের বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। দুই দিন আগে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালের মধ্যেই আবুল হোসেনের মরদেহ রাজশাহী মহানগরীর শিরোইলে নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। আবুল হোসেনকে রাজশাহীতেই দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার ভাইরা ভাই প্রকৌশলী শামসুল আলম।
আবুল হোসেন রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক বার্তা পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন। পরে তিনি দৈনিক আজাদ, ইত্তেফাক ও জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেন। পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় সাপ্তাহিক সোনার দেশ পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সাপ্তাহিক থেকে দৈনিক হওয়ার পরও তিনি পত্রিকাটির সঙ্গে ছিলেন। সর্বশেষ তিনি নাটোর থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকা সম্পাদনা করছিলেন।
আবুল হোসেন রাজশাহী এডিটরস ফোরামের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া রাজশাহী সিটি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠা সভাপতি ছিলেন তিনি। কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেন। বরেণ্য এ সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজশাহীর সাংবাদিক মহলে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/