ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মিরপুর-বিমানবন্দর ফ্লাইওভারে ‘অন্ধকার’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
মিরপুর-বিমানবন্দর ফ্লাইওভারে ‘অন্ধকার’ মিরপুর-বিমানবন্দর ফ্লাইওভারে ‘অন্ধকার’/ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: রাজধানীর পূর্ব থেকে পশ্চিমে সড়ক যোগাযোগ সহজ করতে নির্মাণ করা হয় মিরপুরের মাটিকাটা থেকে বিমানবন্দর সড়কের জিয়া কলোনি পর‌্যন্ত একটি উড়াল সেতু। যার নাম দেওয়া হয়েছে প্রয়াত রাষ্ট্রপতির নামানুসারে ‘জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার’। এ উড়াল সেতুটির ফলে মিরপুর থেকে উত্তরার দূরত্ব কমে যায় ৯ কিলোমিটার।

দিন-রাতে মিলিয়ে পাবলিক ও প্রাইভেট পরিবহনসহ বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে এ উড়াল সেতু দিয়ে। দিনের বেলায় তেমন কোনো সমস্যা না হলেও ইদানিং রাতে অনেককেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

কেননা, ফ্লাইওভারটির একপাশের ল্যাম্পপোস্ট গুলো জ্বললেও অন্য পাশেরগুলো জ্বলছে না।

সরেজমিন রোববার (২৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে জিয়া কলোনি থেকে ফ্লাইওভারে উঠে মাটিকাটায় নেমে দেখা গেছে, পুলিশ চেক পোস্টের পর পুরো উড়াল সেতুই অন্ধকারে। কোনো গাড়ি এলে রাস্তা দেখা যায়। অন্যথায় কিছুই দেখা যায় না।
মিরপুর-বিমানবন্দর ফ্লাইওভারে ‘অন্ধকার’/ছবি: সুমন শেখবনানী ওভারপাস থেকে একটি শাখাও মাটিকাটার এ পথের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। সেখানেও কোনো আলো নেই। গাড়ির চালক বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকরা বলছেন, এটা খুব অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছে। কেননা, গাড়ির গতি বেশি থাকলে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটনা পড়ে। এ অবস্থায় কেউ কোনো অপকর্ম করলেও বোঝার উপায় নেই।

গুলশান-২ থেকে পল্লবীর বাসায় মোটরসাইকেলে এ পথে যাচ্ছিলেন নাদিম রহমান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ল্যাম্পপোস্টের বাতিগুলো না জ্বলায় ভীতিকর অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এ বিষযে নজর দেওয়া উচিত।

২০১০ সালের মার্চ মাসে এ উড়াল সেতুটির কাজ শুরু হয়ে শেষ ২০১৩ সালের মার্চে। একই বছর ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যান চলাচলের জন্য উড়াল সেতুটিতে উদ্বোধন করেন।

সেনানিবাসের ওপর দিয়ে নির্মিত এ ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৯৭ কিলোমিটার।

বাংলাদেশ সময়: ০৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
ইইউডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।