রোববার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানায় এসে ছিনতাইয়ের এ অভিযোগ করেন নগরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক মিয়া। তার অভিযোগ, দুপুরে বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় তিনি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযোগে আব্দুল খালেক বলেছেন-- দুপুরে তিনি তার ছেলেকে আনতে বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে ১৭ লাখ টাকা নগদ ছিল। ছিনতাইকারীরা এ টাকা অস্ত্রের মুখে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
তবে দুপুরের এ ঘটনা সন্ধ্যায় জানানোয় তদন্ত না করেই অভিযোগের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না থানার কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ছিনতাইয়ের ঘটনার সত্যতা কতটুকু তা-ও যাচাই-বাছাই করছেন তারা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সত্যরঞ্জন খাসকেল বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা, তদন্তও চলছে। তবে এতো টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ কোনো ছোট-খাটো বিষয় নয়। তাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এতো বড় ঘটনা যদি ঘটেই থাকে, তবে বিলম্বে থানা পুলিশকে জানানোর কারণ, কারো সঙ্গে আব্দুল খালেকের পূর্ব শত্রুতার বিষয়, অভিযোগের সত্যতাসহ সার্বিক সব ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (সিনিয়র এসি) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, একজন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবসায়ী বিপুল অংকের টাকা ছিনতাই হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তা-ও আবার দুপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনা সন্ধ্যায় অবহিত করেছেন। আবার ওই ব্যবসায়ীর পার্টনাররাও নাকি টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়টি থানায় আসার কিছু আগে জানতে পেরেছেন। ঘটনা যদি সত্যি হয়, তবে এতো বড় ব্যাপারটি নিয়ে বিলম্বের কারণ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। তারপরও এ মুহূর্তেই বিষয়টি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া যাচ্ছে না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে আসল ঘটনা কী?
অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান আসাদুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এমএস/এইচএ/