ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বালাইনাশক আইনে শাস্তি বাড়ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
বালাইনাশক আইনে শাস্তি বাড়ছে বালাইনাশক আইন অনুমোদন

ঢাকা: ‘বালাইনাশক আইন, ২০১৭’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। অনিবন্ধিত বালাইনাশক বিক্রি ও মজুদ এবং মিথ্যা তথ্যে বালাইনাশকের বিজ্ঞাপন প্রচারের শাস্তি বাড়িয়ে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার (৩০ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠকের পর সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের অধ্যাদেশ ধরে পেস্টিসাইড সেক্টরট চলছিলো। পেস্টিসাইড অর্ডিন্যান্সকে বাংলায় অনুবাদ করে একটু পরিমার্জন করে নতুন বলাইনাশক আইন করা হচ্ছে।
 
তিনি বলেন, কীটনাশক শব্দটি সবকিছু কাভার করে না। এজন্য বালাইনাশক দিয়ে সবটা কাভার করা হয়েছে। পোকা, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, কৃমি, ভাইরাস, আগাছা বা ইদুর জাতীয় প্রাণী বা অন্য উদ্ভিদ, কীটপতঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, ধ্বংস প্রশমনের বিষয় বালাইনাশকের মধ্যে চলে আসে।

পুরনো আইনটি ঠিক রেখে নতুন আইনে বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রেজিস্ট্রার্ড ব্র্যান্ডের কোনো বালাইনাশক বিক্রি বা বিক্রির জন্য উন্মুক্ত, মজুদ বা বিজ্ঞাপন দিলে যার ট্যাগ, লেবেল বা প্যাকেজ চিহ্নিত ব্র্যান্ডের প্রকৃতি, উপাদান বা গুণাগুণ যুক্ত না হলে এবং বিজ্ঞাপনে বালাইনাশক মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

কেউ এই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে। এই একই অপরাধ আবারও করলে জরিমানা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ও অনাদায়ে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে। উৎপাদনকারী বালাইনাশক আইনের বিধান অনুযায়ী উৎপাদন করা হয়েছে বলে ডিলারকে মিথ্যা নিশ্চয়তা দিলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বালাইনাশকের নিবন্ধন নম্বরের অননুমোদিত ব্যবহার, মান কমানো, পরিদর্শককে কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া ও নিবন্ধনের সময় মিথ্যা তথ্য দিলে ৭৫ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা বা এক বছর থেকে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে।

পরিদর্শক বা উদ্ভিদ সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ছাড়া এ আইনের অধীনে আদালত কোনো মামলা আমলে নেবে না বলেও জানান তিনি।

এ আইনের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইনের যে অংশটুকু ভ্রাম্যমাণ আদালতের আইনের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক, সেক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট বিচার করতে পারবেন।

এরআগে গত ২০ মার্চ ‘বালাইনাশক আইন, ২০১৭’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিলো মন্ত্রিসভা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭(আপডেট সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা)
এমআইএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।