সিপিএ এর চেয়ারপার্সন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সম্মেলন শুরুর আগে জানিয়েছিলেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। আমাদের সংসদীয় রীতিনীতি তুলে ধরা হবে।
অফিসিয়ালি ১ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত কেনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) এর ৬৩তম কেনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স (সিপিসি) সম্মেলন চলবে। বুধবার ১ নভেম্বর বিভিন্ন দেশের অতিথিরা বাংলাদেশে এসে উপস্থিত হয়েছেন। এখনো অতিথিরা আসছেন। আগামী ৫ নভেম্বর মূল অনুষ্ঠান শুরু আগের দিন পর্যন্ত অতিথিরা আসবেন।
সিপিসি কনফারেন্স সেক্রেটারি ও জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. আব্দুর রব হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘সম্মেলন সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অনেক দেশ থেকেই অতিথিরা চলে আসছেন। আবার অনেকে এখনো রেজিস্ট্রেশন করছেন। মূলত আগামী ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে মূল সম্মেলন। এর আগেও কিছু সেমিনার হবে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে। ’
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হল- ‘কনটিনিউয়িং টু এনহ্যান্স দ্য হাই স্ট্যান্ডার্ডস অব পারফরম্যান্স অব পার্লামেন্টারিয়ানস।
সিপিএ’র মূল অনুষ্ঠানের লক্ষে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আগামী ৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও সম্মেলনের ভাইস প্যাট্রন শেখ হাসিনা সিপিএ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মূল সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। পদাধিকার বলে সিপিএর চিফ প্যাট্রন যুক্তরাজ্যের রাণী এলিজাবেথ। রাণী এলিজাবেথ সম্মেলন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাবেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সম্মেলনের শুভ সূচনা করবেন।
চলতি বছর এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলন আয়োজনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সিপিএ সম্মেলনকে আরও জাঁকজমকপূর্ণ করতে নেয়া হয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। এজন্য অনুষ্ঠানের আয়োজক সংস্থা জাতীয় সংসদ ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে।
সম্মেলনে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। বাংলাদেশ ছাড়াও এ সম্মেলনে ৯টি রিজিয়নের ৫২টি দেশের ১৮০টি জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, সংসদ সদস্যসহ ছয় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
আইপিইউ সম্মেলনের মতো সিপিএ সম্মেলনেও বাংলাদেশি পণ্যের মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। দেশের রফতানিমুখী পণ্যগুলোতে বিদেশিদের আগ্রহী করতে এ মেলা আয়োজন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার সক্ষমতা আমরা কিছুদিন আগেই দেখিয়েছি। কাজেই পুরো সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করতে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, আমরা বিভিন্ন সেশনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরবো। পাশাপাশি চলমান রোহিঙ্গা ইস্যুটিও বিশ্ব নেতৃত্বের নিকট তুলে ধরবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৭
এসএম/জেডএম