বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন তার স্ত্রী রংপুর এলজিইডি’র নগর পরিকল্পনাবিদ তাহেরা খাতুন।
প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বর্তমানে পাবনা-২ অঞ্চলে সড়ক ও জনপথ বিভাগে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পদে কর্মরত আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নগর পরিকল্পনাবিদ তাহেরা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ২৬ অক্টোবর ওই প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদের সঙ্গে লালমনিরহাট থানা পাড়া কাজী অফিসে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবিসহ বিভিন্ন ভাবে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এ বিষয়ে আইনি সহায়তা চেয়ে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে তিনি একটি মামলা করেন। কিন্তু মামলা দায়েরের পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তার স্বামী সুলতান মাহমুদ।
এর পর থেকে একাধিকবার তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মামলা প্রত্যাহারের হুমকিসহ পুরো বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি মহলের সহযোগিতায় অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে তার স্বামী সুলতান মাহমুদ।
সংবাদ সম্মেলনে তাহেরা খাতুন আরো অভিযোগ করে বলেন, ‘মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের সরকারি আইনজীবী আমাকে আইনি সহযোগিতা করছেন না। ’
ফলে সরকারের কাছে ন্যায্য বিচারসহ সুলতান মাহমুদের শাস্তির দাবি করেন তিনি। এ সময় তার বৃদ্ধা মা আলেয়া খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ০১ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ