ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কমিশনার ক্রিস্টোস স্টাইলিয়ানিডস বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ সংকটে ইইউ বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকটের সৃষ্টি মিয়ানমারে। সেখানে তাদের প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ সংকটের সমাধান করতে হবে। তবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে নিরাপদ, নির্বিঘ্ন ও স্বেচ্ছায়।
৩ দিনের সফরে ৩০ অক্টোবর ঢাকায় এসেই পরের দিন সকালে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পরিদর্শনে কক্সবাজার যান ইইউ কমিশনার ক্রিস্টোস। সেখানে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখে তিনি রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়নকে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, নিজ দেশে ফেরার মৌলিক অধিকার আছে রোহিঙ্গাদের। তাই রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে রোহিঙ্গাদের। প্রত্যাবাসন শুরু করতে ইইউ কাজ করবে ।
ইইউ কমিশনার ক্রিস্টোসের সফরটিকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি ইইউ এর একজন মন্ত্রী পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তিনি গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারক ভূমিকা রাখেন। ইইউ ইতিমধ্যে মিয়ানমারের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এবং মিয়ানমারের সেনা কর্তাদের ইউরোপ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে। ইইউ যে আহ্বান জানিয়েছে তাতে মিয়ানমার সাড়া না দিলে দেশটির বিপক্ষে আরও কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা আছে। ইইউ কমিশনার তার এবারের সফরে যদি নেতিবাচক কিছু পান তাহলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করতে পারেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১,২০১৭
কেজেড/আরআই