রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় কক্সবাজারের কুতুপালং ২ নম্বর ও পরে বালুখালি ক্যাম্পে আওয়ামী লীগের পক্ষে ত্রাণ বিতরণ করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় ১০১টি ত্রাণবাহী ট্রাক নিয়ে আসেন রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'লোক দেখানো ফটোসেশন করতে আমরা আসিনি। নেত্রী যেদিন থেকে আকাশের মতো উদারতা দেখিয়েছেন, সেদিন থেকে আওয়ামী লীগ বিপন্ন রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এরইমধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার সোলার লাইট বিতরণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসময় তিনি জানান, কোনো বিশৃঙ্খলা হলে সেনাবাহিনীকে স্থানীয়ভাবে আইন প্রয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। দু’একবার এ চেষ্টা হয়েছিলো, তখন আগেই সেনাবাহিনী পদক্ষেপ নিয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ক্যাম্পে রাতে বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। রোহিঙ্গাদেরর জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সহযোগিতা রয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি সাড়ে ১২ হাজার প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করছে। আর রামু থেকে আরও সাড়ে ৮ হাজার রিলিফ সামগ্রী নিয়ে আসছেন। যত রোহিঙ্গা তত ত্রাণ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
ত্রাণ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এখন আর দিচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সামান্যতম সংকট নেই ত্রাণের। প্রচুর ত্রাণ এসে জমা হয়েছে। শুধু সংকট একটা, সেটা হলো জ্বালানি সংকট। ত্রাণ বিতরণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একটি টিম এখানে কাজ করছে।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বাংলানিউজকে বলেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর থেকে আমরা কক্সবাজারের মানুষ হয়ে গেছি।
এদিকে কক্সবাজারের রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল রামুর প্রত্যেক বাড়ি থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করে ১০১ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকেছেন। রাজনৈতিকভাবে এটি সবচেয়ে বড় ত্রাণ বহর।
এদিকে ত্রাণ বিতরণে আওয়ামী লীগের টিমে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, একেএম শামীম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৭
এসএ/এএ