ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রিংকু হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, দু’জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৭
রিংকু হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, দু’জনের যাবজ্জীবন গাজীপুরে হত্যার দায়ে একজনে ফাঁসি দুইজনে যাবজ্জীবন- ছবি: বাংলানিউজ

গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গীতে আমির হোসেন রিংকু (২৭) হত্যার দায়ে এক যুবকের ফাঁসি ও দুই যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

সোমবার (৬ নভেম্বর) সকালে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ দণ্ডাদেশ দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- বরিশালের কোতোয়ালি থানার পলাশপুর এলাকার শাহজাহান ফকিরের ছেলে আল আমিন (৩২) এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা থানার শাহাপুর এলাকার ফজু মিয়ার ছেলে কাকন ওরফে কালন (২৫) ও গাজীপুরের টঙ্গী থানার মরকুন টেকপাড়া এলাকার আজগর আলীর ছেলে রকি ওরফে রাকিব (২৭)।  

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আল আমিন পলাতক রয়েছে এবং রায় ঘোষণার সময় রাকিব ও কাকন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, টঙ্গীর গোপালপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায় ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকে উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে চাকরি করতেন আমির হোসেন রিংকু। ২০১৫ সালের ১২ জুন রাত পৌনে ১০টার দিকে কর্মস্থল থেকে টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার উড়াল সেতুর পূর্বপ্রান্তে আমতলী এলাকায় পৌঁছালে পূর্বশত্রুতার জেরে আল আমিন, রাকিব ও কাকনসহ অজ্ঞাত পরিচায় ৭-৮ জন রিংকুকে মারধোর করে।  

এক পর্যায়ে রিংকু বাঁচার চেষ্টা করলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিংকুকে গুরুতরভাবে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। পরে রিংকুর বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে টঙ্গী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত করে টঙ্গীর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন চলতি বছরের ১১ মার্চে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।  

টঙ্গীর আমতলী এলাকার আব্বাস আলীর বাড়ির ভাড়াটে মামলার এক নম্বর আসামি ইলিয়াসের (২৪) পূর্ণ ঠিকানা না পাওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।

রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন গাজীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হারিছউদ্দিন আহম্মেদ এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান রিপন ও আম্বিয়া আফরোজা রত্না।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭/ আপডেট সময় ১৪০০
আরএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।