সোমবার (৬ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘরে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এমনটাই বলছিলেন সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। জেলহত্যায় নিহত চার নেতার অন্যতম তাজউদ্দীন আহমদ কন্যা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
রিমি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা তাত্ত্বিক সুবিধায় রয়েছে। এ জনসংখ্যার বিপুল সংখ্যক তরুণ। তাদের চিন্তায় বড় হওয়ার জন্য জেলহত্যা বিষয়ে সঠিক ইতিহাস জানা জরুরি। দলগত দৈন্য অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে এসে দেশ গঠনে কাজ করতে হবে। নিজের কাজটুকু নিজের জায়গা থেকে সঠিকভাবে করলে সেটাই দেশপ্রেম।
অনুষ্ঠনে জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয় দিবস কারার আহ্বান জানান রিমি। তিনি বলেন, চার নেতাকে হত্যার অন্যতম কারণ তাদের দেশপ্রেম। তাই সে দেশপ্রেমের প্রতি সম্মান জানিয়ে কোনো ছুটি নয়, বরং ২০ মিনিট অতিরিক্ত কাজ করার নিমিত্তে জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় দিবস করা যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম অহিদুজ্জামান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে চার নেতা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। তারা নেতৃত্ব, ক্ষমতা ও দেশপ্রেমে দেশ স্বাধীনতার অনন্য নজির। ক্ষমতা ও সাংগাঠনিকতার পাশাপাশি তারা শিক্ষাগত দিক দিয়েও ছিলেন যথেষ্ট জ্ঞানী। যা বর্তমান প্রজন্মের কাছে শিক্ষণীয় বিষয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের সচিব শওকত নবী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭
এইচএমএস/এএ