বুধবার (০৮ নভেম্বর) বেলা ১২টা ৪০মিনিটে খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে তিতুমীর নৌ ঘাঁটির ভিভিআইপি হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। এরপর তিনি দুই জাহাজ ও টাগবোটের কমিশনিং করেন।
এসময় নৌবাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতিকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভিনন্দন জানায় তিতুমীর নৌ ঘাঁটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। পরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কমিশনিং শেষে জাহাজ দু’টি ঘুরেও দেখেন রাষ্ট্রপতি।
শিপইয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি যুদ্ধ জাহাজের দৈর্ঘ্য ৬৪ দশমিক ২ মিটার, প্রস্থ ৯ মিটার ও গভীরতা ৫ দশমিক ২৫ মিটার। জাহাজ দু’টি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা। ২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে সক্ষম জাহাজ দু’টিতে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র রয়েছে। শত্রুর সাবমেরিন শনাক্ত ও বিধ্বংসী টর্পেডো নিক্ষেপ করতেও সক্ষম জাহাজ দু’টি। স্বাভাবিক সময়ে সমুদ্রসীমার নিরাপত্তায় ব্যবহৃত হবে এই জাহাজ। এই জাহাজের লাইফ টাইম ২৫ বছর। প্রতিটি জাহাজে ৭৬ দশমিক ২ মিলিমিটারের একটি গান, ৩০ মিলিমিটারের একটি গান ও ২টি করে টর্পেডো লাঞ্চার রয়েছে।
এছাড়া রয়েছে ২টি নেভিগেশন রাডার, একটি এয়ার অ্যান্ড সারফেস রাডার, একটি ট্রাকিং রাডার ও একটি সোনার। চীনের যুদ্ধজাহাজ বিশেষজ্ঞদের কারিগরি সহায়তায় দুই বছরের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিকমান বজায রেখে বড় যুদ্ধ জাহাজ দু’টি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। জাহাজ দু’টি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮শ’ কোটি টাকা। খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত হালদা ও পশুর নামের টাগ বোটের দৈর্ঘ্য ৩২ মিটার। এই টাগবোট নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৪২ কোটি টাকা।
**খুলনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
এমআরএম/এসএইচ