ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ছিনতাইয়ের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা দ্বন্দ্বে খুন!

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
ছিনতাইয়ের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা দ্বন্দ্বে খুন!

ঢাকা: রাজধানীর রমনা থানাধীন পশ্চিম হাজীপাড়ায় গুলিতে নিহত ঈমন (২০) ছিলো ছিনতাই চক্রের সদস্য। চক্রের অন্য সদস্যদের সঙ্গে টাকা-পয়সা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সে খুন হয়।

হত্যা মামলার প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রমনা থানা পুলিশ।  

পুলিশ বলছে, নিহত ঈমন নিজেই একজন ছিনতাইকারী।

সে মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলো। তার নামে রমনাসহ রাজধানীর কয়েকটি থানায় মাদক, ছিনতাই, অস্ত্র ও মোটরসাইকেল চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।  

ছিনতাইয়ের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে অন্য সহযোগীদের গুলিতে ঈমন খুন হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।  

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নিহত ঈমন নিজেই একজন ছিনতাইকারী। প্রাথমিক তদন্তে আমরা ধারণা করছি, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে সে খুন হয়েছে।  

তবে এ হত্যার পেছনে অন্যকোনো কারণ রয়েছে কি-না তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  

এর আগে গত ০৯ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানীর রমনা থানাধীন পশ্চিম হাজীপাড়া এলাকার নির্মাণাধীন ৫০/৬ নম্বর বাড়ির নিচতলায় থেকে ঈমনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়।  
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত ঈমনের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে। সে পরিবারের সঙ্গে মেরুল বাড্ডার আনন্দনগর এলাকায় বসবাস করতো। তার বাবার নাম মোশারফ হোসেন।

পুলিশ জানিয়েছে, নির্মাণাধীন ৫০/৬ নম্বর বাড়ির নিচতলায় একটি সোফা রয়েছে। গুলিবিদ্ধ ঈমন সেই সোফায় বসা ছিল। তার গলায় একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে এবং মেঝে একটি গুলির খোসা পড়ে ছিলো।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজান বাংলানিউজকে বলেন, নিহত ঈমন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলো। তার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের কিছু অভিযোগও পাওয়া গেছে। রমনাসহ বেশ কয়েকটি থানায় তার নামে মাদক ও ছিনতাইয়ের মোট ৮টি মামলা রয়েছে।  

তবে কারা এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমরা এখনও পাইনি। তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।  
 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভবনটি নির্মাণাধীন হওয়ার কারণে এবং নিচের অংশ কিছুটা খোল থাকার কারণে মাঝেমধ্যেই বেশ কয়েকজন যুবক সেখানে আসতো। তারা সেখানে বসে মাদক সেবন করতো। বৃহস্পতিবার যারা সেখানে এসেছিলো তাদের আগে কখনো দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এসজেএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।