ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে রামপাল-রূপপুর বন্ধের দাবি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে রামপাল-রূপপুর বন্ধের দাবি ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের আয়োজন

ঢাকা: রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশবিনাশী সকল প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বিজয় দিবসে দেশের বিভিন্ন জেলায় ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা সমবেত হয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন।

‘প্রাণ, প্রকৃতি ও মানুষের পক্ষে জনগণ’-এর আহ্বানে ঢাকায় কেন্দ্রীয় আয়োজনে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, নাট্যকর্মী, লেখক, কবি, আইনজীবী, শ্রমিকসহ নানা পেশার মানুষ।

এ সময় সেখানে উপস্থিত থেকে সংহতি জানান তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক তানজীমউদ্দীন খান, শিল্পী অমল আকাশ, বীথি ঘোষ, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সহ বিভিন্ন ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা।

 

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জাতীয় সঙ্গীতে যে প্রাণ-প্রকৃতির কথা আছে, ফুলের কথা আছে, পানির কথা আছে, মানুষের কথা আছে, যে বাংলাদেশের কথা আছে সেই বাংলাদেশকে কালিমালিপ্ত করে, সেই বাংলাদেশকে বিষাক্ত করে, সেই বাংলাদেশকে ভয়াবহ বিপদের দিকে ঠেলে দিয়ে কখনো উন্নয়নের বাংলাদেশ হতে পারে না। কখনো জনগণের বাংলাদেশ হতে পারে না। যেই দেশে সুন্দরবন ধ্বংস হয়, যেই দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে মানুষকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয় সেই দেশে জাতীয় সঙ্গীত পরাজিত হয়।  

আনু মুহাম্মদের বক্তব্যের পরেই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত শেষে একটি গানের মিছিল বের হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যায়।  

এই আয়োজনের অংশ হিসেব বিজয় দিবসের দিন একই দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন স্থানে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া শহীদ মিনারে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় সমগীত, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট ও শহুরে গায়েনের উদ্যোগে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আয়োজন করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।  

অন্যদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গানের দল সরব্যাঞ্জো ও সরসংকেতের উদ্যোগে, রাজশাহী শহরে সমগীতের উদ্যোগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। কিশোরগঞ্জ শহরের মুক্তমঞ্জে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আয়োজন করে সাধারণ মানুষ।  

চট্টগ্রাম শহরে আয়োজন করে অগ্নিবীনা পাঠাগার। মানিকগঞ্জে শহীদ রফিক স্মৃতি পাঠাগার ও সামাজিক সংগঠন তারুণ্য জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আয়োজন করে। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীয় সঙ্গীত গায় সোহাগ স্মৃতি মঞ্চ নামে শ্রমিকদের একটি গণসংগঠন ও ছাত্র ঐক্য ফোরাম।  

সিলেট শহরে নাটকের দল নগরনাটের উদ্যোগে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গাওয়া হয় জাতীয় সঙ্গীত। ঢাকার তেজগাঁওয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি পাঠাগার, মুগদাপাড়ায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও জুরাইনে এলাকার তরুণদের উদ্যোগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়।  

জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, দিনাজপুর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, বাজিতপুর ও খুলনাতেও।  

এছাড়া দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, নরওয়ে, কানাডা, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, পোল্যান্ড, মালয়শিয়া, ফিলিপাইন, নেদারল্যান্ডস, ভারত, চীন, স্পেন, কাতার সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা একই দাবিতে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।