সোমবার (৫ মার্চ) সকালে প্রতিনিধি দলটি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। আগামী ৬ থেকে ৮ মার্চ মস্কোতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তির পর জেসিসির এটি তৃতীয় বৈঠক। বৈঠকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও নির্মাণ কাজের অগ্রগতির পর্যালোচনা হবে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র।
এর আগে কমিটির প্রথম বৈঠকটি মস্কো ও দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়।
রাশিয়ার সার্বিক সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন (রসাটম) এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এএসই গ্রুপ অব কোম্পানিজ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের এ প্রকল্পের ৯০ শতাংশ অর্থ সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া। গত ৩০ নভেম্বর এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজে কংক্রিট ঢালাইয়ে উদ্বোধন করা হয়।
দুই ইউনিটের এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২ হাজার ৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালে উৎপাদনে যাওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতায় সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এর মাধ্যমে এ প্রকল্পের সঙ্গে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছে। সমঝোতা স্মারক সই এর পর জেসিসির সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রণালয় সূত্রটি জানায়।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন এসডিজির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুইয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নঈম চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৮
এসকে/এএ