মঙ্গলবার (৬ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
ল্যাবএইড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেনিন বাংলানিউজকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পরে প্রিয়ভাষিণীর বড় ছেলে কারুতিতাস সাংবাদিকদের বলেন, আজ মরদেহ হাসপাতালে থাকবে। কাল (৭ মার্চ) ছোট ভাই কাজী সসাক তূর্য অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরলে সিদ্ধান্ত নেওয়া কোথায় সমাহিত করা হবে।
তিনি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লিভার, কিডনি, ইউরিন ও থাইরয়েডের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। এছাড়া গত ৮ নভেম্বর বাথরুমে পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পান। সেসময় হাসপাতালে নিয়ে কয়েক দফা তার চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রয়াতের পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহাম্মদ সামাদ বাংলানিউজকে জানান, দুপুরের পর প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ পিংক সিটির বাসায় নেওয়া হবে। সেখান থেকে গোসলের পর ল্যাবএইড হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।
‘এরপর তার দুই ছেলে বিদেশ থেকে আসার পর বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। ’
ওইদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে বলে জানান মোহাম্মদ সামাদ।
জানা যায়, আগামী শনিবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রিয়ভাষিণীর স্মরণে নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হবে।
তিন ছেলে ও তিন মেয়ের জননী প্রিয়ভাষিণী বাংলাদেশের শিল্পচর্চায় নতুন ধারার সন্ধান দেন। ঘর সাজানো ও নিজেকে সাজানোর জন্য দামি জিনিসের পরিবর্তে চারপাশে পাওয়া ডাল, পাতা প্রভৃতি উপকরণ ব্যবহার প্রচলন করেন তিনি। ভাস্কর্য শিল্পে তার কাঠের কাজ খুবই দৃষ্টিগ্রাহ্য।
** নীড় ছোট ক্ষতি নেই, আকাশ তো বড়!
** ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মৃত্যুতে অর্থ ও সেতুমন্ত্রীর শোক
দেশের প্রখ্যাত ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার।
২০১০ সালে স্বাধীনতা পদক ছাড়াও তিনি ‘হিরো বাই দ্য রিডার ডাইজেস্ট ম্যাগাজিন, চাদেরনাথ পদক, অনন্য শীর্ষদশ পদক, রৌপ্য জয়ন্তী পুরস্কার, মানবাধিকার পুরস্কার অর্জন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
পিএম/এএ