মঙ্গলবার (৬ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে শিউলি নামে এক গৃহবধূ মামলাটি দায়ের করেন। পরে আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর কলেজপাড়ার বাসিন্দা আতিকুর রহমান মিঠুর স্ত্রী শিউলী বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই ওসি সিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন সময় তাকে অসামাজিক কাজের প্রস্তাব দিতে থাকেন। এ ব্যাপারে ওই নারী জেলা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানের কাছে অভিযোগ করলে দু’পক্ষের মধ্যে আপোস মিমাংসাও হয়।
সর্বশেষ সোমবার (৫ মার্চ) একটি মামলায় জামিনে থাকা শিউলির বাবাকে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে শিউলি তার মা ও বোনকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যান। সেখানে তিনি গ্রেফতারের বিষয়টি ওসির কাছে জানতে চাইলে তার সঙ্গে থাকা মা-বোনকে বাহিরে যেতে বলে ওসি শিউলীকে জাপটে ধরেন। পরে তিনি চিৎকার করে অফিস থেকে বের হয়ে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে শিউলী বাদী হয়ে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
এ বিষয়ে আক্কেলপুর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, অভিযোগকারী শিউলী বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার ফাইনাল চাচ্ছিল। কিন্তু নারী-শিশু নির্যাতন আইনে মামলার ফাইনাল দেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান থাকলেও তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আপোস মিমাংসা হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এই সাজানো ও মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছে।
এ ঘটনায় জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, দুপুরে শিউলী বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (২০০৩ সালের সংশোধিত) এর ১০ ধারা মোতাবেক শ্লীলতাহানীর মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান জানান, আদালতে একটি মামলা হয়েছে শুনেছি, তবে এখনো অফিসিয়ালি কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। কাগজ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
আরএ