ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

লক্কর ঝক্কর ফেরির কারণেই ভোগান্তি!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৮
লক্কর ঝক্কর ফেরির কারণেই ভোগান্তি! ফেরিতে উঠতে গিয়ে বিপাকে পড়ে যানবাহনগুলো

পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে: লক্কর-ঝক্কর ফেরির কারণেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ভোগান্তি। বেশ ক’টি ফেরি থাকলেও এগুলোর অধিকাংশই নষ্ট। কোনোরকমে যাত্রী ও যানবাহন চলাচলের উপযোগী ফেরিগুলো। যে কারণে ভোগান্তি বেশি হয় বলে মন্তব্য যাত্রীবাহী বাস চালক ওবায়দুর রহমানের।

মঙ্গলবার (০৬ মার্চ) দুপুর পৌনে ৩টা। পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নৌ-রুট পারের অপেক্ষায় যাত্রীবাহী যানবাহনের দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন।

ফেরিঘাট এলাকার ট্রাক টার্মিনালেও আটকা রয়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।

ঘাট এলাকায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর ৩ নম্বর পন্টুনের ফেরি হাসনাহেনায় গাড়ি নিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন ওবায়দুর রহমানসহ আরও কয়েকটি বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চালক।

তাড়াহুড়ো করে ফেরিতে উঠতে মরিয়া অপেক্ষমাণ আরও বেশ কিছু যানবাহনের চালক। এমন সময় লোকজন ফেরিতে উঠতে নিষেধ করায় বিপাকে পড়েছেন ফেরিতে থাকা যানবাহনের শ্রমিক ও যাত্রীরা। ফেরি হাসনাহেনার সেল্ফ সমস্যা। মেরামত হবে তারপর চলাচল করবে। আর মেরামত করতে আধ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানালেন ফেরির লোকজন।

এমন খবরে ২ নম্বর ঘাট এলাকায় থাকা ‘ঢাকা’ নামের ছোট ফেরির পানে ছোটেন সবাই। ফেরিটি সবেমাত্র যানবাহন নামিয়েছে। আর এ ফেরিতে উঠতে ব্যস্ত অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেল চালকরা। এমন সময় ফেরির উপরের তলা থেকে জানানো হচ্ছে ফেরিটির র‌্যামে সমস্যা। অন্য ফেরিতে ওঠার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এভাবেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে নিয়মিত ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে জানান অ্যাম্বুলেন্স চালক মনির মিয়া। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৫টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে একটি ফেরি পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ভাসমান মেরামত কারখানা মধুমতিতে মেরামতে রয়েছে। বাকি ফেরিগুলোর মধ্যে সদ্য বিকল হওয়া ঢাকা ফেরি এবং হাসনাহেনার বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে ওই ফেরিগুলো নষ্ট হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।