অগ্নিদগ্ধ সোনিয়া খাতুনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ মার্চ) দুপুরে এনায়েতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোনিয়া জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী এবং থানার রুপনাই গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে।
সোনিয়ার খালা মোমেনা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, ৫ বছর আগে এনায়েতপুর থানার গোপালপুর বাজারের তাঁত শ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে একই থানার রুপনাই চড়কাদহ গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে সোনিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এ নিয়ে অসংখ্যবার দেন-দরবারও হয়েছে।
এরই জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে জাহাঙ্গীর হোসেন কৌশলে তার স্ত্রীকে এনায়েতপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার পাশের গলিতে এনে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। তখন সোনিয়ার চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সোনিয়ার মুখমণ্ডলসহ প্রায় পুরো শরীর ঝলসে গেছে।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
আরএ