মঙ্গলবার (৬ মার্চ) দুপুরে ইউনিয়নের গাঙচিল বাজারের ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেনের উদ্যোগে আয়োজিত নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগ সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন, আবুল কাশেম, নুর ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, রবিউল হোসেন, মোহাম্মদ সিরাজ, সালাউদ্দিন, এরমানসহ ১৫ জন।
আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ আমার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। এজন্য তারা একাধিকবার আমার ওপর হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছিল।
এ অবস্থায় আমি মঙ্গলবার এলাকার সাধারণ লোকজনকে নিয়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থিত স্থানীয় সন্ত্রাসী দেলোয়ারের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলা চালায়।
এসময় ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীরা ককটেল বিস্ফোরণ করে সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আমার সমর্থকদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে আমিসহ ১৫ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানান, ইউপি সদস্য মোজাম্মেলের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে স্থানীয় গ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্দ। তারাই হামলা করেছে। এতে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। দু’পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৮
আরএ