তামিমা ওই উপজেলার আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও চর কাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
সোমবার (১২ মার্চ) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এলাকাবাসী ও আহত শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ বিকেলে চরকাজল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক সাব্বির আহম্মেদ নোবেলের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায় তামিমা। এসময় রাগান্বিত হয়ে ওই শিক্ষক তার হাতে থাকা কলম ছুড়ে মারলে তামিমার বাম চোখ আঘাত প্রাপ্ত হয়।
তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ও পরে বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার ওই চোখে দৃষ্টি হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। তারা ওই শিক্ষককের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার মানববন্ধনও করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, ওই স্কুলছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার দৃষ্টি হারানোর শঙ্কা রয়েছে বলেও শুনেছি। এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ইংরেজি শিক্ষক সাব্বির আহম্মেদ নোবেলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভি করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এমএস/ওএইচ/