এর জন্য নেপালকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সোমবার (১২ মার্চ) রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি সফরে সিঙ্গাপুরে অবস্থানকালে এক বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত। যারা মারা গেছেন তাদের প্রতি আমি শোক প্রকাশ করছি। তাদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। ঘটনার পরপরই আমি নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনিও শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
‘এ ঘটনায় আমি শোক প্রকাশ করছি। কারণ, সেখানে আমাদের দেশের যাত্রী, নেপাল, চায়না ও মালদ্বীপের ছিল। প্লেনে ৭১ জন যাত্রী রয়েছে। তার মধ্যে ধারণা করা হচ্ছে ৩৩ জনের বেঁচে আছেন। ১৪ জন বাংলাদেশের এবং ৪ জন নেপালের বেঁচে আছেন বলে এখন খবর পেয়েছি। নেপালের প্রায় পাঁচটি হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করে। আমাদের রাষ্ট্রদূত ঘটনাস্থলে যান। আমাদের তিন বাহিনীর প্রধান থেকে শুরু করে পিএসও, পিএমও’র কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে যোগাযোগ রাখছেন।
বার্তায় আরো জানানো হয়, কি কি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খোঁজ খবর রাখছে। ইতোমধ্যে একটি প্লেনসহ ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় লোক প্রস্তুত করা আছে। যেহেতু এখনও নেপালের এয়ারপোর্ট খোলেনি তাই টিম পাঠাতে পারছি না। তবে যা যা প্রয়োজন আমরা তা করবো। নেপালের প্রধানমন্ত্রীকেও আমি বলেছি উদ্ধার বা চিকিৎসার জন্য যা যা সহযোগিতা দরকার করবো। যেকোনো ধরণের সহযোগিতা আমরা করবো। বাংলাদেশ সব সময় নেপালের পাশে আছে, আমরা পাশে থাকবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগুন লেগে পুড়ে গেছে তাই নিহত যাত্রীদের শনাক্ত করা কঠিন হবে বলে মনে করি। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি যে মুহূর্তে এয়ারপোর্ট চালু হবে তখনই আমাদের টিম যাবে। আমাদের ডাক্তাররা যথেষ্ট পারদর্শী। তাদের দিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসার সহযোগিতা করবো। যাদের নিয়ে আসা সম্ভব আমরা সবাইকে নিয়ে আসবো। এ ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। যারা মারা গেছেন তাদের জন্য শোক প্রকাশ করছি আর যারা জীবিত আছেন তাদের চিকিৎসার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে আমরা প্রস্তুত আছি।
বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
এসকে/এমসি/এএটি