অন্যরা বেঁচে আছেন কিনা-এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
সিলেটে অবস্থানরত নেপালি শিক্ষার্থীদের স্বজন ও নেপালে অবস্থানরত হতাহতদের সহপাঠীদের বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মেডিকেল কলেজের উপ-পরিচালক ডা. আরমান আহমদ শিপলু।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় ১৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১ ছাত্রী, দুই ছাত্র ছিলেন। তাদের প্রাণহানির আশঙ্কা করেছিলেন তারা। এদের মধ্যে দু’জন শিক্ষার্থী বেঁচে আছেন এবং তারা কাঠমান্ডুতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে তারা আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন।
হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. আবেদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মেডিকেল কলেজটিতে নেপালের আড়াইশ’ শিক্ষার্থী রয়েছেন।
রোববার (১১ মার্চ) পরীক্ষা শেষ হওয়ার ওই ফ্লাইটে ১৩ শিক্ষার্থী ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন। দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত হতে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে কাঠমান্ডুতে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
প্লেনের ১৩ শিক্ষার্থী হলেন-সঞ্জয় পাউডাল, সঞ্জয়া মেহেরজান, নিগা মেহেরজান, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্ণিমা লুনানি, শ্বেতা থাপা, মিলি মেহেরজান, সারুনা শ্রেষ্ঠ, আলজিনা বড়াল, চারু বড়াল, আশনা সাকিয়া, প্রিন্সি ধামি ও সামিরা বায়ানজানকর। প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছেন। আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন ২০ জন। তবে নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এনইউ/এএটি