স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, লক্ষ্মীপুরের প্রধান অর্থকরী ফসল সুপারি। এবার প্রায় সাড়ে ১২ হাজার টন সুপারির ফলন হয়েছে জেলায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার প্রায় সব এলাকার বিভিন্ন ডোবা-নালায় পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে সুপারি। বর্তমানে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ সুপারি বিভিন্ন স্থানে জলাশয়গুলোতে ভেজানো রয়েছে। সুপারির কাঁচা স্বাদ ধরে রাখতে নির্দিষ্ট পাকা হাউসে ভেজানোর নিয়ম থাকলেও বেশি লাভের আশায় তা মানছেননা ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা।
স্থানীয়রা জানান, উম্মুক্ত জলাশয়ে সুপারি ভেজানোর ফলে পানি ব্যবহার করতে পারছেনা তারা, মাছ চাষ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি পঁচা সুপারির দুর্গন্ধে আশপাশে চলাচল করতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় এলাকার লোকজন ও পথচারীদের।
লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলা চররুহিতা, দালালবাজার ও রায়পুরের রাখালিয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে শ্রমিকরা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে সুপারিতে বিষাক্ত রঙ মেশাচ্ছেন। পানিতে দীর্ঘদিন সুপারির সংরক্ষণ করলে রঙ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা রঙ মিশিয়ে চকচকে করে। পরে চড়া দামে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয় লক্ষ্মীপুরের বিষাক্ত কেমিক্যাল ও রঙ এসব মেশানো সুপারি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশবাদী সংগঠন ইউএসএ বাংলাদেশের সভাপতি অহিদুল হক বাবলু বাংলানিউজকে জানান, জলজ প্রাণি ধ্বংস হওয়াসহ দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষন হচ্ছে। প্রশাসনকে জানানোর পরও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সুপারিতে বিষাক্ত রঙ মেশানোর ফলে মানবদেহে বিভিন্ন রোগসহ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এতে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এসআর/এসআরএস