বিবাহ বার্ষিকী পালনের জন্য তারা নেপালে গিয়েছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। প্রাথমিক এ দম্পতির উভয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লেও শাওন চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
মানিকগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাট এলাকার অবসরপ্রাপ্ত ডা. রেজা হাসানের একমাত্র মেয়ে তাহিরা তানভিন শশী (২৭)। একই জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর এলাকার ডা. মোজাম্মেল হকের ছেলে ডা. রেজায়ানুল হক শাওনের সঙ্গে প্রায় সাত বছর আগে বিয়ে হয় শশীর।
রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকতেন তারা। মাঝে মধ্যে গ্রামের বাড়িতে আসতেন। শাওন রংপুর মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন। আর শশী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এল. এল. এম এর পরীক্ষার্থী ছিলেন।
এ বিষয়ে শশীর মামা আইনজীবী আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে শশী নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। তখন শাওনের ব্যাপারে প্রাথমিক নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে ভোরের দিকে শাওনের বেঁচে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। কাঠমান্ডুর ওএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন শাওন।
সাটুরিয়ার গোপালপুর এলাকার শাওনের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আপেল মাহমুদ জানান, শাওনের শরীরের চার ভাগের এক ভাগ আগুনে পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে। শাওনের খোঁজ নিতে তার বাবা ডা. মোজাম্মেল হক আজ সকালে কাঠমান্ডুর হাসপাতালে পৌঁছেছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
জেডএস