মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন আডামা দিয়েং। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, মহাসচিবের বিশেষ গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে নিদর্শন দেখিয়েছেন তা অনুকরণীয় এবং প্রশংসনীয়। তাই বিশ্ব এখন এ সমস্যার বিষয়ে চোখ বন্ধ করে রাখতে পারবে না। জাতিসংঘ চেষ্টা করবে সব দেশ মিলে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করে সমস্যার সমাধান করার।
আর চাপ সৃষ্টি করার জন্য জাতিসংঘ যা কিছু করা দরকার সবই করবে। রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারকে চাপ দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘ অত্যন্ত সিরিয়াস। তিনি ফিরে গিয়ে এবিষয়ে কাজ শুরু করলে আমরা বুঝবো তারা কতটা সিরিয়াস।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান আমি তাকে বলেছি। কিছুদিন আগে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর মিয়ানমার সফর এবং এ সমস্যার আশু এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই তা তুলে ধরেছি।
আনিসুল হক বলেন, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিস্কার ভাবে তুলে ধরে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম সর্ম্পকে অবহিত করেছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আমাদের ওপর যেসব অত্যাচার ও গণহত্যা করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে তুলে ধরেছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে এবং তারপর খুনিদের বাঁচাতে যে ‘ইনডেমিনিটি অডিয়েন্স’ করা হয়েছিল, তা তুলে ধরেছি। আমি মহাসচিবের বিশেষ গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক উপদেষ্টাকে বলেছি, আমরা মনে করি আইনের শাসন এবং বিশ্ব নিরাপত্তার জন্য মানবতার বিরুদ্ধে যারা অপরাধ করে তাদের বিচার হওয়া উচিত। বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের সাজা হওয়া উচিত। ২৫ মার্চের গণহত্যার বিষয়ে তাকে অবহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
এসই/এসএইচ