তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলও নেপাল গেছেন। তারা দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন হাসপাতালে যাবেন।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
কামরুল বলেন, যেহেতু বার্ন ইস্যু রয়েছে, তাই মরদেহ চিহ্নিত করতে বেশকিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। শতভাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে।
ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া পাইলট-এটিসি'র কথোপকথনের বিষয়ে আপনারা নিশ্চিত কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ককপিটের তথ্য ছাড়া এটা নিশ্চিত হওয়ার কোনো উপায় নেই। আমরা প্রথম থেকেই সন্দেহের কথা বলছি। আমরা চাই আন্তর্জাতিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয় বের হয়ে এসে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক। এ তদন্তের জন্য কতদিন লাগতে পারে, তা বলা যাচ্ছে না।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আহত-নিহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় ইউএস-বাংলা বহন করছে।
সোমবার (১২ মার্চ) দুপুর ২টা ২০ মিনিটে পার্বত্য শহর কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস২১১ ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়।
ঢাকা থেকে যাওয়া ৭৮ আসনের উড়োজাহাজটিতে চার ক্রুসহ মোট ৭১ আরোহী ছিলেন। এতে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় নেপাল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ফ্লাইটটির পাইলট আবিদ সুলতান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ এ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
ইইউডি/আরআর