রিমন জেলার নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের ঝপরকান্দা গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে।
রিমনের মৃত্যুর খবর পরিবারের অন্যরা জানলেও বাবা মশিউর রহমান জানেন তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মা লিলি বেগম রিমনের স্ত্রী ঝর্ণা মাহমুদের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে জানতে পারেন রিমন বেঁচে নেই। প্রিয় সন্তান হারা মায়ের আর্তনাদে ওই এলাকার বাতাস ভারী হয়ে আসছে। বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন রিমনের ছোট ভাই মোখলেছুর রহমান রুপম। মৃত্যুর খবরে শুনে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে বাড়িতে ভিড় করেছেন প্রতিবেশীরা।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রিমনের মা বলেন, অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়েছি ছেলেকে আঁকড়ে ধরে বাঁচবো বলে। সেই আশা পূরণে রিমন চাকরিও নিয়েছিলো। ওর পাঠানো টাকা দিয়েই আমাদের সংসার চলতো। আমাদের বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন ছিলো রিমন। তাকে কেন কাইড়া নিলা আল্লাহ?
জানা গেছে, রিমন স্থানীয় আতিকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ফরিদপুর পলিটেকনিক্যাল কলেজ থেকে পাওয়ার বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা শেষ করেছেন। তিনি ২০১১ সালে রানার অটো মোবাইলস কোম্পানিতে চাকরি নেন। বর্তমানে হেড অব সার্ভিস পদে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর নিকুঞ্জতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
রানার অটো মোবাইল কোম্পানির ফরিদপুর এরিয়া ইনচার্জ আব্দুল মাজেদ জানান, কোম্পানির কাজে রিমনসহ আরো দুই সহকর্মী মতিউর রহমান পলাশ ও নুরুজ্জামান নেপালে যাচ্ছিলো।
রিমনের চাচা মো. আফতার উদ্দিন বলেন, বৃদ্ধ ও অসুস্থ হওয়ায় বর্তমানে রিমনের বাবা কিছু করতে পারছেন না। রিমনের ছোট ভাই রুপম এইচএসসি পাস করে, বর্তমানে বেকার। প্রতিমাসেই সংসার খরচের টাকা পাঠাতো রিমন। ওই টাকা দিয়েই তাদের সংসার চলতো। মা-বাবাকে খুবই যত্ন করতো রিমন। এখন ওনাদের কে দেখবে?
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
ওএইচ/