বুধবার (১৪ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ অভিযান চালিয়ে তাদের জরিমানা ও আটক করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান, এনডিসি জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র, সদর উপজেলা সহ-কমিশনার (ভূমি) প্রত্যয় হাসান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত ফেরদৌস।
সূত্র জানায়, ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযানে চালিয়ে জালাল নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়। তিনি নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীদের আল্ট্রাসনোগ্রাম করছিলেন। এ সময় তাকে হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে তার কাগজপত্র দেখে তাকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। পাশাপাশি অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। ভুয়া চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ায় ম্যানেজার সুফিয়া বেগমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও সতর্ক করা হয়।
এর আগে, শহরের আশিফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় সেন্টারটির স্টাফ শহিদুল ইসলাম শহীদকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে, সম্রাট জেনারেল হাসপাতালে কাগজপত্র না থাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ম্যানেজার নাসিরকে সতর্ক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া শহরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ধরনের কাজে যারাই জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
আরআইএস/