তিনি বলেছেন, আইকার নিয়ম অনুযায়ী ৩৬৫ দিনের মধ্যে তদন্তের নিয়ম রয়েছে। তবে এ ঘটনায় প্রয়োজনে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বেবিচকের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাইম হাসান এ কথা বলেন।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, প্লেন দুর্ঘটনা তদন্তে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। দুর্ঘটনার পর থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু এটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। ব্লাক বক্স বা ফ্লাইটের ডাটা রেকর্ডার কানাডায় পাঠানো হবে, ইকুপমেন্ট টেস্টের বিষয় অাছে। ৩৬৫ দিনও লাগতে পারে, তবে ফিক্সড কোনো সময় নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে নাইম হাসান বলেন, ঘটনা যেহেতু নেপালে ঘটেছে, সে হিসেবে তদন্তের এখতিয়ার পুরোপুরি নেপালের ওপর। অামরা সহযোগিতা করতে পারি, অামাদের টিম অাসা-যাওয়া করবে।
তিনি জানান, বেবিচকের পক্ষ থেকে নেপালে পাঠানো টিম জানিয়েছে, বিএস২১১ উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৯ জন মরদেহের ময়না-তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ৪-৫ দিনের মধ্যে বাকিগুলোর হয়ে যাবে অাশা করছি। এরপর থেকে অাহতদের সঙ্গে একটা দুইটা করে মরদেহ অাসতে থাকবে।
বেবিচকের সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সব মরদেহের ময়না-তদন্ত শেষ হলে পরিচয় শনাক্ত করার কাজটি শুরু হবে। পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন ব্যাপার। কারণ ৫০ মরদেহ এক এক করে সবাইকে দেখাতে হচ্ছে। শরীরের স্পেশাল দাগ, কী রঙের কাপড় পরেছেন, এগুলো অাত্মীয়দের কাছ থেকে জেনে নিচ্ছেন। এর জন্য কমিটি গঠন করেছেন। পরিচয় শনাক্তের কাজ শেষ হলে মরদেহ অাসতে থাকবে।
এ সময় বেবিচকের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি) চৌধুরী জিয়াউল কবির উপস্থিত ছিলেন।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় বিএস২১১। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫১ জন। এর মধ্যে ইউএস-বাংলার পাইলট ও কো-পাইলট নিয়ে চার ক্রুসহ ২৬ জনই বাংলাদেশি। উড়োজাহাজে থাকা ৩২ বাংলাদেশির মধ্যে বেঁচে আছেন ১০ জন। তাদের মধ্যে ডা. রেজওয়ানুল হক শাওন নামে একজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিঙ্গাপুরে। শাহরিন আহমেদ নামে একজনকে বিকেলে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। বাকিদেরও চিকিৎসা চলছে এবং দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
এমসি/এইচএ/