শুক্রবার (১৬ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, আজ এই সম্মাননা দেওয়ার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো, যাদের মধ্যে এই মহৎ গুণাবলী প্রবেশ করেছে, তারা ভাল কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য নতুনভাবে অনুপ্রেরণা পাবেন।
ড. আখতারুজ্জামান আরও বলেন, গোল্ডেন ক্লাব ও সিলভার ক্লাবের এই সদস্যদের সম্মানিত করতে পেরে আমরা নিজেরাই সম্মানিত হয়েছি। এটি একটি অসাধারণ ভাল কাজ। যেটির সঙ্গে মানবিক গুণাবলি জড়িত। যারা স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে এগিয়ে এসেছেন সেসব রক্তদাতা ও তাদের বাবা-মাকেও আমি আন্তারিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোয়ান্টামের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রখ্যাত মনোরোগ ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. জহির উদ্দিন আহমাদ।
স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন মুস্তারী চৌধুরী রিমকী এবং নিয়মিত রক্ত গ্রহীতাদের মধ্য থেকে থ্যালাসেমিয়া রোগী সুমাইয়া আক্তার সিমি তার অনুভূতির কথা জানান।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে রক্তদাতাদের সনদপত্র, বিশেষ আইডি কার্ড, সম্মাননা ক্রেস্ট ও মেডেল দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় সাত লাখ ব্যাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্তের চাহিদা রয়েছে। রক্ত ঘাটতির বিপুল এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সাল থেকে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ানো ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যাক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম।
গত একযুগের প্রচেষ্টায় প্রায় সাড়ে নয় লক্ষাধিক মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রেখেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
এমএইচ/এএটি