মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে মির্জাপুর গ্রামের একটি বনজ গাছের বাগানের পাশে ডোবা থেকে বৃদ্ধার খণ্ডিত মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
বিকেলে উপজেলার কড়ইচূড়া ইউনিয়নের গুজামানিকা স্কুলের পাশে একটি বাড়ি থেকে ঘাতক জামাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত বানু বেওয়ার বড় মেয়ে কমলা বেগম বাদী হয়ে ভান্ডারি দিপুসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন-চারজনকে আসামি করে মাদারগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত ভানু বেওয়া জামালপুর সদর উপজেলার ইটাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী।
নিহতের পারিবারের বরাত দিয়ে মাদারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদ আলী বাংলানিউজকে জানান, নিহতের ছোট মেয়ে হোসনা বেগমের শ্বশুরবাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের দিলালেরপাড়া গ্রামে। ভান্ডারি দিপু শাশুড়িকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রোববার (২৬ আগস্ট) দিলালেরপাড়ায় তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। ওই রাত থেকেই ভানু বেওয়া নিখোঁজ হন। পরদিন রাত ৮টার দিকে পুলিশ মির্জাপুর গ্রামের একটি সেতুর পশ্চিম পাশের শুক্কুর আলীর বনজ গাছের বাগান থেকে ভানু বেওয়ার মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ওই বাগানের কাছেই একটি ডোবা থেকে বৃদ্ধার খণ্ডিত মাথাটিও উদ্ধার করে।
এদিকে ভান্ডারি দিপু মাদারগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে শ্বাশুড়িকে হত্যার দায় স্বীকার করে ফোন করেন।
মাদারগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এসএসপি) সামিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ওই ফোনের সূত্র ধরে বিকেলে মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচূড়া ইউনিয়নের গুজামানিকা স্কুলের পাশে একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভান্ডারি দিপু তার স্ত্রী হোসনা বেগমের পরকীয়া প্রেমের বিষয়ে তার শাশুড়িকে জানানোর পরও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে শাশুড়িকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০১৮
জিপি